ইদ মানুষের জীবনে আনন্দের সাথে ভুগান্তিও কম নিয়ে আসে না। তবে সে ভুগান্তি আমাদের মতো মানুষেরই সৃষ্টি। ইদকে সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষের কাছ থেকে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায়,অশালীন আচরণ, যানজট সমস্যা নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সহ নানাবিধ বিষয়ে প্রশাসন সহ পরিবহন মালিক শ্রমিক সমিতির সদস্যের সাথে আলোচনা হয়েছে ইত:পূর্বে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ ময়মনসিংহ শহরের বিভিন্ন এলাকা বিশেষ করে শম্ভুগঞ্জ ব্রিজ এলাকায় যাত্রীসাধারণের যাতায়াত ভাড়া,যানজট ইত্যাদি বিষয়ে সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করতে লিগ্যাল এসিস্ট্যান্স ফর ভালনারেবল সোসাইটি এবং নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের সদস্যবৃন্দ, রিপোর্টার সহ অনেকেই উপস্থিত হন। সাথে ছিলাম আমিও। যেই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যাত্রা করেছিলাম তা পথিমধ্যেই পর্যবেক্ষণের সৌভাগ্য হয়েছিলো আমার। গফরগাঁও থেকে ময়মনসিংহ যেতে ১৫০ টাকা ভাড়া গুনতে হয়েছে আমাকে। ড্রাইভারের কাছে জানতে চাইলে সহজ সরল উত্তর দিলেন "জিপি বাড়ছে"। একজন ড্রাইভার বললেন " আগে আমরা জিপি দিতাম ৭০ টেহা। মাস্টরের ৫০ টেহা আর পৌরসভা ২০ টেহা। আর আজকে মাস্টরের দিছি ২০০ টেহা আর পৌরসভার ১০০ টেহা।" আর একজন ড্রাইভার এসে বললেন...
এইচএসসিতে ভর্তি হওয়ার সর্বশেষ তারিখটাও যখন অতিক্রান্ত হয়েছে তখনও ভর্তি হয়নি মৌসুমী। ভর্তি হয়নি বললে ভুল হবে। ভর্তি হওয়ার মতো টাকা তখনো যোগাড় করতে পারেনি মৌসুমী। হ্যাঁ, বলছিলাম ডিকেজিএস ইউনাইটেড কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ভর্তি প্রার্থী মৌসুমীর কথা। ভর্তির সময় চলে যাওয়ার বেশ কিছুদিন পর টাকা জোগাড় হয় তার। সেই কাহিনী আরো অবাক করার মতো। মৌসুমীকে পাত্রী হিসেবে দেখতে এসে পাত্র পক্ষ যে টাকা দিয়ে যায় তাই জমিয়ে রাখে মৌসুমী সবার অজান্তে। জমানো টাকা দিয়ে কলেজে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয় মৌসুমীর। কলেজে ভর্তি হওয়ার প্রবল ইচ্ছাশক্তি তাকে সফলতার পথ দেখিয়েছে। যখন কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয়ের সাথে দেখা করেন ভর্তি বিষয়ে কথা বলতে তখন যে অনেক দেরি হয়ে গেছে এটা তার অজানা ছিলো না। কিন্ত তার আত্মবিশ্বাস ছিলো প্রবল। তার ইচ্ছাশক্তি, তার সব ঘটনা শুনার পর অধ্যক্ষ মহোদয়ের আন্তরিকতা, সুশীল সমাজের সহযোগিতা আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে মৌসুমীর বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজর কাড়ে। সকলের সহযোগিতয় ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মহোদয় বিশেষ বিবেচনায় ভর্তির অনুমতি প্রদান করেন মৌসুমীকে। মোসুমী এক নতুন ইতি...